ঈদের আগে মাংসের বাজারের পরিস্থিতি কী?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
কোরবানির ঈদের বাকি হাতেগোনা মাত্র দুদিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। ফাঁকা ঢাকায় এখনো চড়া মাংসের দাম। শুক্রবার (১৪ জুন) কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজার ও শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, সোনালি মুরগি ছাড়া বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। আর গরু ও খাসি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। তবে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে গাড়ি কম আসায় পাইকারিতে বেড়েছে দাম। যার প্রভাব পড়েছে খুচরায়ও। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রিপন জানান, ঈদে ট্রাক-পিকআপগুলোতে গরু আসছে। এতে বাজারে কিছুটা সরবরাহ সংকট চলছে। তাই সামান্য দাম বেড়েছে মুরগির। তবে কমেছে সোনালি মুরগির দাম। আর বাজারে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, ঈদে অনেক মানুষ গ্রামে চলে গেছেন। এতে কমেছে ক্রেতা। তবে গরুর দাম না কমায় মাংসের দামও কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে দাম বেড়েছে ডিমেরও। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়, আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |