কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকল্পের কাজে হরিলুট বিষয়ে প্রকল্প ব্যবস্থাপকের বক্তব্য
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
|
![]() কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকল্পের কাজে হরিলুট বিষয়ে প্রকল্প ব্যবস্থাপকের বক্তব্য প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এবং উক্ত কাজের ঠিকাদার উভয়ের যোগসাজসে হরিলুটের খবর প্রকাশ হওয়ায় প্রকল্প ব্যবস্থাপক এম এ রব পাটোয়ারী গত ১০ জুন তার প্রতিবাদ বক্তব্য প্রেরণ করেছেন। প্রতিবাদ বক্তব্যে তিনি বলেন, দৈনিক আনন্দবাজার ও দৈনিক সাতমাথার ০৫ জুন এবং ০৬ জুন অনলাইন পত্রিকা দৈনিক নতুন সময় ২০২৪ ইং সংখ্যায়" নাগেশ্বরী হাসপাতালে ইউনিসেফের প্রকল্পে হরিলুট” শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)'র নজরে এসেছে। প্রকাশিত সংবাদে কুড়িগ্রামের তিনটি উপজেলায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। অথচ এই তিন উপজেলায় বাস্তবায়িত কাজের টাকার পরিমাণ এর চেয়ে অনেক কম। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে দরপত্র ছাড়াই গোপনে পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ, মনগড়া ব্যক্তিদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন, নিম্ন মানের উপকরণ দিয়ে রাতের আধারে তড়িঘড়ি করি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। অথচ সংস্থার ক্রয় নিতীমালা অনুযায়ী স্থানীয়ভবে দরপত্র সংগ্রহের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কমপক্ষে তিনটি দরপত্র সংগ্রহ করা হয়। উক্ত দরপত্র উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করে (উনার স্বাক্ষর ও সীল সহ) ডিএসকে সহকারী প্রকৌশলী ক্রয় কমিটির নিকট উপস্থান করলে ক্রয় কমিটি উল্লেখিত সকল তথ্য উপাত্ত, কাজগপত্র যাচাই বাচাই করে তুলনামূলক বিশ্লেষন (Comparative Statement) এর মাধ্যমে সর্ব নিম্ন দরদাতাকে দরপত্রে উল্লেখিত কাজ, কাজের মান নিশ্চিত, সরকারী ভ্যাট/ট্যাক্স কর্তন সহ সকল শর্ত উল্লেখ পূর্বক লিখিতভাবে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যা আমাদের নিকট সংরক্ষিত আছে। প্রতিবেদনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আরো উল্লেখ করা হয়েছে উনার স্বাক্ষর ও সীল জাল করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সীল জাল করে উনার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো এনজিও কোনো প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা বা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা করা অসম্ভব। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে ইতোমধ্যে ডিএসকে কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে। তিনি বিষয়টিকে ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে মনে করে এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ভুল তথ্য প্রকাশের ফলে সকল নিয়মকানুন সঠিকভাবে অনুসরণ করে পরিচালিত কার্যক্রম বা প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ জনগণ, সরকার ও দাতা সংস্থার মধ্যে সৃষ্ট নেতিবাচক মনোভাব নিরসনে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা জরুরী বলে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) মনে করে। তাই ডিএসকে কর্তৃপক্ষ এই ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ করছে, সেই সাথে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত সংবাদের সংশোধনী প্রকাশের জন্য সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। দৈনিক নতুন সময়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আহম্মেদুল কবিরের বক্তব্য মতে গত ০৫ জুন প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার ও দৈনিক সাতমাথা এর পূর্বে গত ০৪ জুন নিউজ পোর্টাল দিগন্তের বাংলাদেশে প্রকাশিত নিউজের ভিত্তিতে গত ০৬ জুন নিউজটির গুরুত্ব বিবেচনা করে দৈনিক নতুন সময়ে- সংবাদটি প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হয় এবং প্রকাশিত হয়। এতে দৈনিক নতুন সময়ে প্রকাশিত নিউজটিতে অযাচিত কোন মনগড়া তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |