৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নাজনীন মুন্নীসহ ৬ জনকে আইনি নোটিশ
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 10 June, 2024, 9:34 PM
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নাজনীন মুন্নীসহ ৬ জনকে আইনি নোটিশ
দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে মানহানিকর বক্তব্য প্রচারে ডিবিসির নাজনীন মুন্নীসহ ৬ জনের কাছে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সরোয়ার।
রোববার (৯ জুন) এই আইনি নোটিশে বলা হয়, গত ১৯ মে ডিবিসি নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত নাজনীন মুন্নীর উপস্থাপনায় টক- শো রাজকাহন-এ উপস্থিত ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না, শেখ রবিউল আলম এবং বিএনএম-এর তথাকথিত মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। অনুষ্ঠানে মো. শাহজাহান অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেনের নাম উল্লেখ করে তার সম্বন্ধে বাধাহীনভাবে মিথ্যা, মানহানিকর, প্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করেন। যা পরের দিন (২০ মে) ডিবিসি নিউজ-এর ইউটিউব চ্যানেল-এও প্রচারিত হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, সঞ্চালিকা নাজনীন মুন্নীর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মো. শাহজাহান তার বক্তব্যে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন-কে উদ্দেশ্য করে তার পারিবারিক, ব্যক্তি জীবন এবং কর্মজীবন নিয়ে নানান কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা- বানোয়াট, মানহানিকর কথাবার্তা বলেন। দুঃখজনকভাবে প্রশ্নের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হলেও সঞ্চালিকা মো. শাহজাহানকে কোন বাধা দেন না।
পরে এ বিষয়ে মো. শাহজাহান, সঞ্চালিকা নাজনীন মুন্নী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক এম. মঞ্জুরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আহসান এবং চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান বরাবর একটি প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। প্রতিবাদপত্রে সঞ্চালিকা নাজনীন মুন্নীর উপস্থিতিতে রাজকাহন অনুষ্ঠানে মো. শাহজাহানকে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করা হয়।
তবে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন-এর পক্ষে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক যথাক্রমে মো. শাহজাহান, ডিবিসি নিউজ, সঞ্চালিকা নাজনীন মুন্নী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক এম. মঞ্জুরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আহসান এবং চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহানকে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান, প্রচার এবং প্রচারের সহযোগিতা করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক পৃথক আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন একজন সেনা অফিসার ছিলেন। বাংলাদেশে মিলিটারি একাডেমীতে থাকাকালীন তিনি ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমী, যুক্তরাষ্ট্র প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২৪ জুন ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক করে কমিশন প্রাপ্ত হন।
চাকরি জীবনে একাধিক পদাতিক ব্যাটালিয়নসহ আর্মস ফোর্সেস ডিভিশন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকুরী করেছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনে অংশগ্রহণসহ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরি জীবনে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ টি মেডেল ও পদক পেয়েছেন।
২০০৭ সালে মেজর পদবী হতে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। তিনি একজন পেনশনধারী। সুদীর্ঘ কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন শিক্ষাগত জীবনে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হতে গ্রাজুয়েশন ও পোষ্ট-গ্রাজুয়েশন করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এবং সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে গ্রাজুয়েশন এবং পোষ্ট গ্রাজুয়েশন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি সকল পর্যায়ে মেধা তালিকায় স্থানসহ অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছেন।