ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম নেই!
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 10 June, 2024, 2:27 PM
সর্বশেষ আপডেট: Monday, 10 June, 2024, 2:28 PM

মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম নেই!

মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম নেই!

ভারতের জনসংখ্যার হিসাব অনুযায়ী মুসলিম ভোটার প্রায় ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৪ কোটি মুসলিম ভোট আছে। অথচ, মোদির মন্ত্রিসভায় নেই কোনো মুসলিম মন্ত্রী!

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতারাই নানা সময়ে বলেছেন, সংখ্যালঘু মুসলিমদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। তাহলে এরপরও কেন মুসলিম মন্ত্রীর ঠাঁই হলো না মোদির মন্ত্রিসভায়?

রবিবার সন্ধ্যায় নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠোনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথ নিলেন। তাদের মধ্যে একটি মুসলিম মুখও দেখা গেল না।

এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা সংযুক্ত জনতা দলও কোনো মুসলিম মুখকে মন্ত্রী করল না।

পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশের মতে, এও এক বিস্ময় বইকি। উপর্যুপরি সরকারে ধারাবাহিকভাবে দেশের সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিই নেই।

কেউ বা আবার বলছেন, নো ভোট তাই নো পোস্ট। অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি। তাই তাদের জন্য পদও নেই।

অটল বিহারী বাজপেয়ী মানতেন, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ী জমানায় ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু মুখ ছিল।

মোখতার আব্বাস নকভিকে ৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদবানী বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা।

সম্ভবত, ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদবানী।

তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য সঙ্ঘ পরিবারের চাপে দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদবানীকে।

তবু প্রথাগতভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের একটা প্রতিনিধিত্ব ছিলই। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুটি সংখ্যালঘু মুখ ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর সংখ্যালঘু মুখ নেই। এবারও দেখা গেল না।

ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা কমবেশি ২০ কোটি। ১৪০ কোটির দেশে হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় অনেক অনেক কম। আবার ২০ কোটি জনসংখ্যাও কম নয়। পৃথিবীর বহু দেশে মোট জনসংখ্যাই ২০ কোটির কম। যেমন বাংলাদেশ।

অথচ ভারতের এত বিপুল সংখ্যক মুসলিমের কোনো প্রতিনিধি কেন্দ্রের সরকারেই থাকল না

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ। কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status