দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট: হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট: হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণকল্পে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট উত্থাপন হলো এবারের সংসদে। যার আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।জাতীয় সংসদের সম্পুরক বাজেট আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এসব কথা বলেন। ৭৫ বছর বয়সী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একটি সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পউন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকার মেট্রো রেল চালু, পাতাল রেলের কাজ শুরু ওএলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। হাবিবুর রহমান এমপি বলেন, ঢাকার সাথে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক, কর্ণফুলী নদীর তলদেশের টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়িতে বহুমুখী প্রকল্প জননেত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার ফলশ্রুতি। ৬ জুন ২১ বারের মতো বাজেট দিয়েছেন। সরকার প্রধান হিসেবে এই বাজেট আর কেউ দিতে পারেনি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫ তম বাজেট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই গত ৬ জুন সুখী, সমৃদ্ধ , উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মাণের অঙ্গীকার শিরোনামের ২০২৪ ২০২৫ অর্থবছরে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলের সর্বশেষ বাজেট ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এখন বাজেটের আকার অনেক বড় হয়েছে। সুখী, সমৃদ্ধ ,উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে প্রণীত এ বাজেট চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমতার মত যুগান্তরকারী বিভিন্ন প্রযুক্তি, মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি , স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এজন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এবারের বাজেট ঘোষণার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সমৃদ্ধ সুখী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। মধ্য মেয়াদী সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে নির্মিত দলিল বাজেট বক্তৃতার সাথে পেশ করা হয়েছে এই দলিলটি সরকারের দৃষ্টি স্বচ্ছতা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, গত অর্থবছরে ২০২৩-২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার একটি যুগোপযোগী ও বাস্তব সম্মত বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। সে কারণে দেশের মানুষ আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ক্ষমতায় বসিয়েছেন গত বছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল। নানামুখী সংকট সংশয় থাকলেও বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনীতিক অস্থিরতা, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, পণ্যের বাজারের অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি সহ সার্বিক বিবেচনায় আমরা কিছুটা চাপের মধ্যে থাকলেও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকার তা মোকাবেলা করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এখনো আমাদের অর্থনীতির চাকা সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি সরকারের ব্যয় কৃচ্ছতাসাধন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণের নীতি ব্যাপকভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয় ব্যয় নির্ধারণে বাস্তবধর্মী ফল দিয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছে। তাই সার্বিকভাবে মাননীয় অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৩ - ২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট আমাদের সকলের সমর্থন পাওয়ার দাবিদার। ২৩-২৪ অর্থ বছরের আয়ের-ব্যয়ের বাস্তব অবস্থার নিরিখে মূলত তিনটি মোটা খাতে সংশোধনের প্রস্তাব মাননীয় অর্থমন্ত্রী ২৩-২৪ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটে উপস্থাপন করেছেন। এখানে একটি কথা উল্লেখ করতে হবে, কারণ এটি আওয়ামী লীগ সরকার । আর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে বিএনপি জামাত জোটের সময় হাওয়া ভবনের নাম খুলে সেখানে কমিশন বানিজ্যের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট হয়েছিল। আওয়ামী লীগ দেশের জন্য মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে। গত ৬ জুন সম্পূরক বাজেটে অর্থমন্ত্রী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছেন । তিনি বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করছি - প্রথমত রাজস্ব আয় ১২. ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রকৃত ধন্যবাদ প্রাপ্তির দাবিদার হলেও মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার কোটি টাকার কম অর্জিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরো যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। কর আদায়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ পরিহার করে অটোমেশন কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এতে করে রাজস্ব আদাযয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়াও কর আদায়ে করের পরিমাণ বা হার বৃদ্ধি না করে করের পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে আমারা এখনো পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পিছিয়ে আছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের কর দেয়ার প্রবনতা আরো বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত সরকারি ব্যয় সরকারি ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও কৃচ্ছতা সাধনে সময়োপরযাগী পদক্ষেপের ফলে সংসদীয় বাজেটে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা হ্রাস করার প্রস্তাব করার ফলে ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকার প্রস্তাবের মধ্যে তার প্রতিফলন ঘটেছে। এছাড়াও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সংশোধিত সম্পূরক বাজেট ১৮ হাজার কোটি টাকা রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপ গুলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে । আগামী দিনগুলোতেও সরকারি ব্যয় বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের খরচ এবং প্রকল্পের ব্যয় প্রাধিকার নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে । আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় প্রকল্প নিলেই নতুন নতুন একাধিক গাড়ি কেনা হয় এই একাধিক গাড়ি কেনার প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |