শেরপুরের প্রত্যন্ত পাহাড়ি জমিতে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুর। প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ হয়েছে আঙ্গুরফল। ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে আঙ্গুর রোপণ করেছেন উদ্যোক্তা জলিল মিয়া। এরই মধ্যে সুমিষ্ট ফল ধরেছে বাগানে। জলিল মিয়ার আশা, এবার বাগান থেকেই ফল বিক্রি করে লাভবান হবেন।
স্বর জমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুরের ছড়া। পরীক্ষামূলকভাবে এই আঙ্গুর চাষ করেছেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার, পাহাড়ি এলাকার মেঘাদল গ্রামের বাসিন্দা জলিল মিয়া।
তিনি জানান, গত বছর ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বসে কয়েকটি জাতের আঙ্গুর ফলের চারা নিয়ে আসেন। শুরু করেন বাগান, এরপর আরো দুই ধাপে ৪০ জাতের চারা নিয়ে এসে নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে প্রায় শতাধিক চারা রোপণ করেন। এতে সব কিছু মিলিয়ে তার খরচ হয় এক লাখ ২০হাজার টাকা। পরিচর্যার পর বাগানে আসতে শুরু করেছে সুমিষ্ট ফল। যা বিক্রি করে লাভের আশা করছেন তিনি। এছাড়া নিজেই উৎপাদন শুরু করেছেন আঙ্গুর ও আঙ্গুরের চারা এবং বিক্রিও শুরু করেছেন।
গ্রামে প্রথমবারের মতো আঙ্গুর চাষ করে ত্যাগ লাগিয়ে দিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। তার বাগান থেকে অনেকে বাগান করতেও আগ্রহী হচ্ছেন।
উদ্যোক্তা জলিল মিয়া বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারা লাগানো হয়। ১০ মাস পর বাগানে আসে ফল। ফল ও চারা বিক্রি শুরু করেছেন। নতুন করে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন এই উদ্যোক্তা। তিনিও আরও বলেন, যদি কারো আঙ্গুর চাষে আগ্রহ থাকে,আমার কাছে চারা আছে, তাকে দিতে পারবো। আঙ্গুর চাষ যে বাংলাদেশে হয়, আমি নিজে তার প্রমাণ পেয়েছি।
জলিল মিয়ার এই বাগান দেখে অনেক কৃষকই আগ্রহী হচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেকেই তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেছেন।
এ ধরনের চাষে কৃষকদের সব ধরনের উৎসাহ ও সহযোগিতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক জালাল উদ্দিন প্রথমবারের মতো আমাদের শ্রীবরদী উপজেলায় আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন। অন্য কোনো কৃষি উদ্যোক্তা যদি আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হন তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হবে।