২০৫০ সালের মধ্যে ১৭ ভাগ উপকূলীয় এলাকা সমুদ্রে বিলীনের শঙ্কা
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ২০৫০ সালের মধ্যে ১৭ ভাগ উপকূলীয় এলাকা সমুদ্রে বিলীনের শঙ্কা পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জলবায়ু সংসদের সভাপতি ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, স্থপতি ইকবাল হাবিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জলবায়ু সংসদের সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। এদিকে, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, এলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানজিদা খান রিপা এবং বেলার রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর রেহমুনা নুরাইন। তানভীর শাকিল জয় বলেন, আমাদের প্রতিটি কাজের বিপরীতমুখী চিন্তা করেই উন্নয়নের দিকে এগোতে হবে। শুধু সরকারের পক্ষে এটা সম্ভব নয়, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশকে সংরক্ষণে রেখেই চিন্তা করতে হবে। পরিবেশের সাথে সচেতন করতে হবে নিজেদেরকে, কোনটার প্রয়োজন আগে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো। মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, খরা ও মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে উর্বর ভূমি ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে মরুকরণ। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৭ ভাগ এলাকা সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তিনি ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার জলাশয় ও বৃক্ষ নিয়ে কথা বলেন, তুলনামূলক তথ্য প্রদান করেন। বাংলাদেশে প্রায় ১৩-১৪টি জেলায় খরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফলে ২০-৩০ ভাগ ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২০-২৫ বছরে উত্তরাঞ্চলে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এলাকায় মরুভূমির বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠবে। এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, খরা ও মরুময়তা নিয়ন্ত্রণে একমাত্র পদক্ষেপ হবে বৃক্ষরোপণ এবং বনায়ন কার্যক্রম বাড়ানো। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারি অধিদপ্তর সকলের এক যোগে কাজ করতে হবে। সরকারকে আরও শক্ত করে ক্ষমতা প্রয়োগ করে কথা বলতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আব্দুল হামিদ অধিদপ্তরের পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ফান্ড দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। আয়োজক ১৮টি সংগঠনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |