কোরবানিদাতা জিলহজে কী কী আমল করবেন?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() কোরবানিদাতা জিলহজে কী কী আমল করবেন? আল্লাহ তাআলার বলেন, ‘তিনি মুত্তাক্বিদের (পরহেযগার ও সংযমি ব্যক্তির) কোরবানিই কবুল করে থাকেন’। আর এ জন্য কোরবানিদাতার এমন কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি; যা তার জন্য নিষিদ্ধ। সেই কাজগুলো কী কী? যিনি কোরবানি দেবেন, তিনি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে কোরবানির আগপর্যন্ত ২টি কাজ করবেন না। প্রথমত, তিনি হাতের নখ কাটবেন না। দ্বিতীয়ত, কোরবানির আগপর্যন্ত পশম, চুল, দাঁড়ি কাটবেন না। এগুলো হলো সুন্নত। এসব শুধু যার পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হবে, তিনি করবেন। পরিবারের সবাই করার দরকার নেই। কোরবানির পশু জবাইয়ের আগপর্যন্ত কোরবানিদাতা এসব পালন করবেন। আর এই দিনগুলোতে কোরবানিদাতা, বেশি বেশি জিকির করবেন। আল্লাহর প্রশংসা করবেন। জিলহজের রোজা ইমাম নববী (রা.) বলেন, এ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। বিশেষ করে, যে ব্যক্তি হজে যায়নি তার জন্য আরাফার দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত। মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, হে যুবক! তুমি কেন এ দিনগুলোতে রোজা রাখো? সে প্রত্যুত্তরে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, এ দিবসসমূহ পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের মুবারক সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ দাস আজাদ করার, ১০০ উট দান করার এবং জিহাদের সাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে দুই হাজার দাস মুক্ত করার, দুই হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত দুই হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে। (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি) অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, আরাফাতের দিন তথা ৯ জিলহজের রোজা দুই বছর রোজা রাখার সমতুল্য আর আশুরার রোজা এক বছর রোজা রাখার সমতুল্য। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আর আমি মুসা (আ.)-এর সঙ্গে ৩০ রাতের অঙ্গীকার করেছি এবং তা পূর্ণ করেছি আরো ১০ দ্বারা। (সূরা: আরাফ, আয়াত: ১৪১) মুফাসসিরদের মতে, সেই ১০ দিন ছিল জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |