নোয়াখালীতে শ্যালক হত্যার প্রধান আসামি র্যাবের হাতে গ্রেফতার
আকরাম পাটোয়ারী,মাইজদী
প্রকাশ: Sunday, 2 June, 2024, 1:31 PM
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মরদেহ পাওয়ার ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-৩। চুরির খবর বলে দেওয়ায় শ্যালককে হত্যা করেন ভগ্নিপতি। তারপর শ্যালকের মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে আত্মগোপনে যান তিনি।
শনিবার (১ জুন) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মে সকালে সুবর্ণচরে রিপন নামে এক জেলের মরদেহ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরমান হোসেন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-৩। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব আরও জানায়, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিপনের সঙ্গে জামালের বিরোধ ছিল। তাই গত ২৮ মে রাত সাড়ে ১১টায় জামালকে একা পেয়ে তার মাথায় আঘাত করলে রিপন রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় পথচারী দেখে রিপনকে পাশের একটি ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে তিনি তার বাড়িতে চলে যান। এরপর বাড়িতে এসে তার পোশাক পরিবর্তন করে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুনরায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিপনের মৃত্যু নিশ্চিত দেখে লাশটি তিনি নিজে কাঁধে নিয়ে দূরে মেঘনা নদীর কিনারায় ফেলে দেন। পরবর্তীতে ৩০ তারিখ সকালে জামাল তার স্ত্রীকে বিশেষ প্রয়োজনে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। চুরির খবর বলে দেওয়া শ্যালককে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে আত্মগোপনে যায় ভগ্নিপতি। অবশেষে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য চরজব্বর থানায় সোপর্দ করেছি।