ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার, পরিপক্ক হলেই পাড়া যাবে আম
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Thursday, 16 May, 2024, 7:15 PM

থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার, পরিপক্ক হলেই পাড়া যাবে আম

থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার, পরিপক্ক হলেই পাড়া যাবে আম

আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার বা আম পাড়ার সময়সীমা। আম পরিপক্ক হলেই গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করতে পারবেন আমচাষিরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমচাষি, কৃষি বিভাগ, ব্যবসায়ী, গবেষকদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।

ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, বিষমুক্ত আম উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের প্রস্তুতিমূলক সভায় আমচাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং গবেষক ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে গাছে পাকা আম দেখা দিলেই বা পরিপক্ক হলেই তা বাজারজাত করতে পারবেন আমচাষিরা। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় দেরিতে আম পাকা ও সাম্প্রতিক আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এবারও ক্যালেন্ডার রাখা হচ্ছে না।

আমচাষিরা বলছেন, হঠাৎ করেই তীব্র তাপপ্রবাহ ও অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টির কারণে আম আগে-পরে পরিপক্ক হচ্ছে। তাই আম পাড়ার সময় বেঁধে দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা। এ সিদ্ধান্তে খুশি জেলার আমচাষি ও রফতানিকারকরা।

উদ্যোক্তা ও আম রফতানিকারক ইসমাইল খান শামীম বলেন, ‘সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে পরে বাজারে আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। আর এতে এমনিতেই বেশি দাম পায় এখানকার কৃষকরা। তাই বাজারে আমে সয়লাব থাকা অবস্থায় আগাম আম পাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই আমাদের দাবি ছিল, যাতে কোনো ধরনের সময়সীমা নির্ধারণ না করা হয়।

আমচাষি রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসনকে এমন সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা জেলা প্রশাসনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি কোনো চাষি অপরিপক্ক আম বাজারজাত করবে না। কেউ করলে অন্য আমচাষিরা তা প্রতিরোধ করবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে আম পাড়ার নির্ধারিত সময় বেঁধে দিলে বাজারজাত করতে অসদুপায় অবলম্বন করে অনেকেই। তাই তা রোধ করতে ও নায্যমূল্য নিশ্চিতে ম্যাংগো ক্যালেন্ডার না রাখার সিদ্ধান্ত। জেলার আমচাষিরা এমনিতেই পরিপক্ব না হলে আম পাড়ে না, তাই এখানে আলাদাভাবে ক্যালেন্ডারের দরকার নাই।’

আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে আগে পরে আম পেকে যাচ্ছে স্বল্প সময়ের মধ্যেই। একই কারণে চলতি মৌসুমে আমের ফলন কম হলেও সাইজ বড় হবে। আগামীতে বৃষ্টি পেলে আরও বড় সাইজ হবে। অন্যদিকে, ফলন কম ও ম্যাংগো ক্যালেন্ডার না থাকায় দামের দিক থেকেও ভালো পাবেন কৃষকরা।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, আগামী ১০ জুন থেকে চালু হয়ে যতদিন আম পরিবহন করবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা, ততদিন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চলবে। কম খরচে নিরাপদে আম পরিবহনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগামীতে বাগান থেকে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার কুলি ও বুকিংকারীদের সিন্ডিকেট থাকবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে, ম্যাংগো ক্যালেন্ডার না থাকার সুযোগে অপরিপক্ক আম বাজারজাত রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কঠোর নজরদারির হুঁশিয়ারি প্রশাসনের। এমনকি আম সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য উপজেলা পর্যায়ে থাকবে কন্ট্রোল রুম।

জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, ‘আম বাজারজাতকরণ ও পরিবহনে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট চলবে না। রেলে আম পরিবহনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষকদের স্বার্থে এবার ম্যাংগো ক্যালেন্ডার রাখা হচ্ছে না। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সব আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন আম।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status