কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
আকামা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আনোয়ারা বেগমকে মারপিটসহ বালিশ দ্বারা চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে আল-আমিন নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডিত আসামি হলো আল-আমিন (২০) দেবিদ্বার ভিংলাবাড়ির সাজু মিয়ার ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, সৌদি আরবে আকামা না পেয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০ সালের ৩ মার্চ দিবাগত মধ্য রাতে আনোয়ারা বেগমকে মারপিটসহ বালিশ দ্বারা চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে কুমিল্লা দেবিদ্বারে উপজেলার ভিংলা বাড়ীর মৃত হাবিবুর রহমান এর কন্যা মোছাঃ উম্মে সালমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঘটনার পরদিন দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আনোয়ার উল্লাহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতে আল-আমিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে একই উপজেলার ভিংলা বাড়ী'র আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম, আসামি মোস্তাফিজুর রহমান, আসামি সুলতান আহমেদ ও আসামি আল-আমিন (২০) এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে আট জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আল-আমিন এর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে পলাতক আসামি আল-আমিন এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আদালত একই সাথে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেন। এ মামলার অপর আসামি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি মোঃ নজরুল ইসলাম ও সুলতান আহমেদ মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে মামলার দায় হইতে অব্যহতি প্রদান করেন আদালত। এ রায়ে ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন অভিযোগকারীনি মোছাঃ উম্মে সালমা খাতুন। তিনি বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |