কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর একটি স্কুলের শতভাগ এসএসসি পরীক্ষার্থী ফেল
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: Sunday, 12 May, 2024, 11:02 PM সর্বশেষ আপডেট: Sunday, 12 May, 2024, 11:22 PM
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর একটি স্কুলের শতভাগ এসএসসি পরীক্ষার্থী ফেল
২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দিনাজপুর বোর্ডের অধীন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব সুখাতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতভাগ এসএসসি পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে এবার মোট ৫ জন পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫ জনই ফেল করে। পার্সেন্টেজ অনুযায়ী বিদ্যালয়টির শতভাগ পরীক্ষার্থীই ফেল করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে জুনিয়র পর্যায়ের (অষ্টম শ্রেণি) পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয় বিদ্যালয়টি। এরপর ২০১২ সালের পর থেকে নবম দশম শ্রেণির পাঠদান পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে। গত বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫ জন পাস করে। বর্তমানে ঐ বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২০৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রধান শিক্ষক সহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন। আগামী এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৯ম শ্রেণিতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। আজ রেজাল্ট প্রকাশের পর বিদ্যালয়টির শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় অভিভাবকগন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
আনেকের সাফ কথা বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে কোন পাঠদানই করান না। আড্ডাবাজী এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা তাদের প্রধান কাজ। স্থানীয় অভিভাবকগণ আরো অনেক অভিযোগ তুলে বলেন, সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ ওই সমস্ত স্কুলের শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়টি কঠিন এবং কঠোর ভাবে মনিটরিং করলে শিক্ষার্থীদের আজ এ অবস্থা হতো না।
এ ব্যাপারে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করা ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব বলেন, শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ এবং করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় সেজন্য আমরা সচেতন থাকবো।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট ২২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৬ হাজার ৪৫৫ জন। মোট পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯১ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল আলম শতভাগ ফেলের বিষয়ে বলেন, এসব স্কুলের বেতন বন্ধ হওয়া দরকার। প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে প্রতিষ্ঠান চালায়। করোনা কাল শেষ হওয়ার ৩ বছর পরেও এসে করোনার দোহাই দেয়াটা অযৌক্তিক।
স্থানীয় অভিভাবকগন বলেন, শিক্ষকদের ওসব নাটক। ক্লাশে ঠিকমত উপস্থিত এবং শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী পাঠদান করলে কোন শিক্ষার্থীই ফেল করতো না। পরকীয়া করে প্রবাসী স্বামীর ২ কোটি টাকা আত্মসাত।। প্রতারক কারাগারে।।