পুরো ভর্তি পরীক্ষা জুড়েই পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কর্মকান্ড ছিল লক্ষনীয়
রাফিউল ইসলাম,পাবিপ্রবি
প্রকাশ: Saturday, 11 May, 2024, 6:45 PM
পুরো ভর্তি পরীক্ষা জুড়েই পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কর্মকান্ড ছিল লক্ষনীয়
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট তিনটি ইউনিটে তিন ধাপে পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়।এতে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে সেবাপ্রদান করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ। যা ছিল প্রশংসনীয়।
পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসসহ বাহিরের তিন কেন্দ্রে ভর্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।তিন দিনে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সিট পরেছিল মোট ১৫,৬৭৮ জন এবং বাকি কেন্দ্রে সিট পরেছিল ২,৮৪৩ জন শিক্ষার্থীর।
এতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় মোবাইল ও মানিব্যাগ রাখা, জরুরি মেডিকেল সেবা, ফ্রি-তে সুপেয় পানি বিতরণ, জয়বাংলা বাইক সার্ভিস, অভিভাবকদের বসার ব্যাবস্থা সহ মোট ১০টি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
২৭ এপ্রিল, ৩ মে এবং ১০ মে তিন দিনেই ধারাবাহিক ভাবেই তাদের এ কার্যক্রম চলেছে। এতে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সরজমিনে বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে তা জানা যায়। জয়পুরহাট জেলা হতে আগত এক অভিভাবক জানান, " আমি এবং আমার ছেলে পরীক্ষার একদিন আগে পাবনা পৌঁছাই। ছেলের পরিচিত ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে আমরা আসি।
পরবর্তীতে তারা (ছাত্রলীগ কর্মী) আমাদের রাতের থাকার ব্যবস্থাসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া থেকে সকল ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সাথে সহোযোগিতা করেছে।"
জয় বাংলা বাইক সার্ভিস নেওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা বলেন, "আমার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো পাবনা জেলা স্কুলে কিন্তু আমি ভুলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে চলে আসি । পরবর্তীতে হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করলে, তারা আমাকে বাইকে করে জেলা স্কুল কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। ছাত্রলীগের এই জয় বাংলা বাইক সার্ভিস না পেলে হয়তো আমি যানজটের কারণে সঠিক সময়ে কেন্দ্রেই প্রবেশ করতে পারতাম না, ছাত্রলীগের এ কার্যক্রম আসলেই প্রশংসা পাওয়া মতো।"
মাঠ পর্যায়ে ঘুরে এমন অনেক সেবা প্রদানের চিত্র দেখা যায় যেটিকে সবাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উৎসাহ দিয়েছে।
ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন,"আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তীব্র তাপদাহে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ হাজার বোতল সুপেয় পানির ও জরুরি মেডিকেল সেবার ব্যাবস্থা রেখেছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র ছাড়াও পাবনা শহরের মধ্যে তিনটা কেন্দ্র থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে জয়বাংলা বাইক সার্ভিসের ব্যস্ত রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের বিশ্রামের কথা চিন্তা করে প্রায় দুই হাজার চেয়ারের ব্যবস্থাও করেছি।"
পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বলেন, "জনগণের জন্য যা কল্যাণকর তা যে কোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করতে আমরা প্রস্তুত। নিজের জন্য নয়, আমরা রাজনীতি করি জনতার স্বার্থে। ছাত্রলীগের ইতিহাস ঘাটলেই এর জ্বলন্ত প্রমাণ মিলবে।
১৯৪৮ সালে সময়ের দাবিতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর থেকে এ দেশে যত প্রগতিশীল আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে সবগুলোর নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।"
তিনি আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর মতো শুভ কাজের উদ্বোধন করেছে ছাত্রলীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জ্ঞান চর্চার কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রগতিশীল, মেধাভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করে দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।"