পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময়ে এইরকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে কোরোনাল মাস ইজেকশন পৃথিবীতে আঘাত হানে। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়। এদিকে এ সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়াতে অরোরা বা মেরুজ্যোতি দেখা গেছে। ফটোগ্রাফার শন ও' রিওর্ডান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘আজ ভোর ৪টায় তাসমানিয়ায় একেবারে বাইবেলে বর্ণিত আকাশ দেখা গেছে। আমি আজ চলে যাচ্ছি। এই সুযোগ হাত ছাড়া হলো না।’ কর্তৃপক্ষ স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) এবং সোলার ফ্লেয়ার সূর্যের মধ্যে ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা দেখা গেছে। সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এদিকে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |