সাকিব-মুস্তাফিজের বোলিং তোপে শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() সাকিব-মুস্তাফিজের বোলিং তোপে শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরের শেরেবাংলায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। আগে ব্যাট করে তামিম-সৌম্যর শতরানের জুটি সত্ত্বেও মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। তামিম সর্বোচ্চ ৫২ ও সৌম্য ৪১ রান করেন। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২ বল বাকি থাকতে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই ব্রায়ান বেনেটকে হারিয়ে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দলীয় শতরানের আগেই আরও ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন জনাথান ক্যাম্পবেল। তিনি চেষ্টা করলেও তাকে যোগ্য সহায়তা দিতে ব্যর্থ হন অন্য ব্যাটাররা। দলীয় ১০৩ রানে ক্যাম্পবেল দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত সফরকারীরা মাত্র ১৩৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এদিন বল হাতে রীতিমতো ত্রাস ছড়ান ১০ মাস পর দলে ফেরা সাকিব আল হাসান। তাকে সঙ্গ দেন আইপিএলের আসর কাঁপানো মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব ৪টি ও মুস্তাফিজ তুলে নেন ৩টি উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৯.৫০ গড়ে ৫৭ রান সংগ্রহ করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম-সৌম্য। সিরিজে চার ম্যাচের মধ্যে পাওয়ার প্লেতে এটাই সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের। এরপর আস্তে আস্তে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর শাসন করতে থাকেন তামিম। দলীয় ৯ ওভারের সময় তামিম টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশত তুলে নেন ৩৪ বলে। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ৩৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করে বিদায় নেন। তখন বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ১০১ রান। তামিমের বিদায়ের ৭ রান পর বিদায় নেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফিরেন তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক শান্ত। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে ৩ বলের বেশি টিকতে পারেননি সাকিব। বেনেটের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রানে। পরে সিনিয়রদের দেখানো পথেই হাঁটেন জাকের আলি, রিশাদ, তাসকিনরা। বাংলাদেশ তাদের শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৩১ রানে। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে বোলারদের সামনে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |