যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত, কায়রো ছাড়ল হামাস প্রতিনিধি দল
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত, কায়রো ছাড়ল হামাস প্রতিনিধি দল হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের বিবৃতির বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে। বিবৃতিতে হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকার জনবহুল রাফাহ শহরে ইসরায়েলের আক্রমণ ও রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখলের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টাকে বাধা দেওয়া ও যুদ্ধ আরও বাড়ানো। এই বিবৃতি বর্তমান যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির ‘‘প্রতিশ্রুতি ও আনুগত্যকেও’’ নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে, হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দেশ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। ইসরায়েল ক্যাটজ হামাস ধ্বংস সম্পর্কে বলেন, ‘এটি ছাড়া আর কোনো যুদ্ধ নেই’। প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস সম্প্রতি আমেরিকা, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি জাোয়। তবে এ চুক্তিতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। এরইমধ্যে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের রাফাহতে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। চুক্তির প্রথম ধাপে ৪০ দিনের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মিকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় মুক্তি দেবে হামাস। এই দফায় যারা মুক্তি পাবে তাঁরা হলো– নারী, শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা। প্রত্যেক জিম্মির বিনিময়ে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। দ্বিতীয় ধাপে পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে আরও কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। চুক্তির তৃতীয় ধাপে অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত বা জিম্মি অবস্থায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবার মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে তাতে ইসরায়েলের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। গেল বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |