বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের রসালো লিচু
তৌরব হোসেন,সোনারগাঁ
|
বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের রসালো লিচু সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া-চৌরাস্তা বাজারে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে লিচু বিক্রেতা মোঃ ওমর ফারুক ১’শ কদ্মি লিচু বিক্রি করছে ৫শত থেকে ৬শত টাকা, পেতি লিচু বিক্রি করছে ৩শত টাকা,চায়না- লিচু বিক্রি করছে ৬শত টাকা এবং বোম্বাই লিচু বিক্রি করছে ৪শত টাকা দরে। উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা ও বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের পুরো এলাকা এবং মোগরাপাড়া, সনমান্দি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় ভালো লিচু ফলন হয়ে থাকে। এসব এলাকার বাগানে বাগানে ঝুলছে লাল-লাল পাঁকা লিচু। বাগান থেকে লিচু কিনে নিতে রাজধানী ঢাকা সহ দুর-দুরান্ত থেকে সৌখিন ক্রেতারা এসে লিচু কেনার জন্য ভীর জমাচ্ছে। দামের প্রতি না তাকিয়ে এসব ক্রেতারা লিচুর স্বাধ নিতে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সোনারগাঁও পৌরসভার ভট্রপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিন হাজী আনিছুর রহমান খাঁন বলেন, প্রখর খরার কারনে এবছর লিচুর ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি। লিচুর আকার ছোট হয়েছে। লিচু মিস্টিও কম হয়েছে। এদিকে আবার বাজারে লিচু আসার সাথে সাথেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় লিচুতে পোকা হয়ে যাবে। একারনে লিচু ব্যবসায়িরা লোকসানে পারতে পারেন এবার। এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৮৫টি গ্রাম লিচুর জন্য প্রসিদ্ধ। তবে অনাবৃষ্টি আর প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে পানাম, সনমান্দী, গোয়ালদী, বৈদ্যেরবাজার, ভট্টপুর, গাবতলী, হাড়িয়া, অর্জুন্দী, দুলালপুর, গোবিন্দপুর, কৃষ্ণপুরা, বাগমুছা, হাতকোপা, দত্তপাড়া, আদমপুর, খাগুটিয়া, খাসনগর দিঘিরপাড়, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, দরপত, টিপরদী, হরিশপুর, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়াদিঘির পাড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকার লিচু বাগানের গুটি পড়ে যাচ্ছে আবার গুটি থাকলেও বেশিরভাগ লিচু রোদে পুড়ে ফেটে ঝরে পড়ছে মাটিতে। সোনারগাঁয়ের সামাজিক সংগঠন কৃষ্ণপুরা অর্নিবাণ সংসদের প্রথম যুগ্ম-আহবায়ক আতা রাব্বী জুয়েল বলেন, রাজশাহীর আম, পদ্মার ইলিশ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, ফল-ফলাদী এবং প্রাণীর উন্নয়নের উপর সরকার যেমন বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তেমনি সরকারের কৃষি বিভাগের উচিত সোনারগাঁয়ের লিচুর উন্নয়নের উপর কাজ করা। কারন সোনারগাঁয়ের লিচু মৌসুমের প্রথম বাজারে আসায় ক্রেতার কাছে এই লিচুর প্রচুর চাহিদা থাকে। পাশাপশি এর একটা ঐতিহ্যও তৈরী হয়েছে। কৃষি বিভাগ এর উন্নয়নে কাজ করলে সোনারগাঁয়ের লিচু চাষির সংখ্যা আরও বারবে এবং লিচু চাষিরা লিচু চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। কৃষকও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কর্যালয় সূত্রে জানাযায়, এবারে খরার কারনে লিচুর ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি। সময় মতো বৃষ্টি হলে ফলন আরো ভালো হতো। লিচুর উন্নয়নে সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তারা জানায়। কুড়িগ্রামে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান মামুনুর রশীদ |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |