হিলি স্থলবন্দরের আড়ত ও পাইকারি বাজারে অর্ধেকে নেমেছে জিরার দাম। দুই মাস আগেও প্রতি কেজি জিরার দাম ছিল হাজার টাকার ওপরে। কয়েক দফায় দাম কমে জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। আড়াই থেকে তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরার দাম কমেছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। জিরার আমদানি যেভাবে হচ্ছে তাতে দাম আরও কমার কথা বলছেন মসলা ব্যবসায়ীরা। কম দামে কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে হিলি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মসলার দোকানগুলোতে বস্তায় বস্তায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের জিরা।
দোকানগুলোতে ভিন্ন মসলা কিনতে ক্রেতাদের ভিড় অনেকটাই। রকমারি মসল্লা ঘরের মালিক জানান, তাদের এই ঐতিহ্যবাহী মসলার দোকানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন জিরা সহ বিভিন্ন মসলা কেনার জন্য। আগের থেকে জিরার বেচা বিক্রি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা বিক্রি করলেও এখন তা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরেক জিরা বিক্রেতা ফেরদৌস বলেন, আগে জিরা ইরান, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন বহির্বিশ্ব থেকে আমদানি হলেও বর্তমানে আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। নতুন মৌসুমে ভারতে জিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিও বেড়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত কমছে দাম।
ভারতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিরা রোপন করা হয় এবং ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফসল তোলা শুরু হয়। ভারতের উৎপাদিত জিরা প্রায় পুরোটাই আসে গুজরাটের উনঝায় ও রাজস্থান থেকে।
হিলি স্থলববন্দরের আমদানিকারকের প্রতিনিধি মোঃ হারুন বলেন, চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনেকটাই বেড়েছে জিরার আমদানি। এসব জিরা আসছে ভারতের গুজরাটের উনঝায় থেকে। প্রতি কেজি জিরার শুল্ক দিতে