চোখের সামনেই নিজের মৃত্যু দেখছিলাম, থানচি থেকে অভিনেত্রী সায়মা স্মৃতি
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 4 April, 2024, 2:11 PM
চোখের সামনেই নিজের মৃত্যু দেখছিলাম, থানচি থেকে অভিনেত্রী সায়মা স্মৃতি
‘বান্দরবানের থানচির একদমই দুর্গম এলাকায় শুটিং করতে এসেছি আমরা। প্রায় ৭০ ভাগই শুটিং শেষ আমাদের। অল্প কিছু গল্প বাকি। আর এই সময়ের মধ্যে আজ (৩ এপ্রিল) এখানে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা, যা ভাবনাতেও ছিল না। সারাটা দিন কী একটা পরিস্থিতিতে যে কেটেছে, সেটা বোঝানো সম্ভব নয়। যেন চোখের সামনেই নিজের মৃত্যু দেখতে পাচ্ছিলাম।’
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চ্যানেল-24 অনলাইনকে এভাবেই বান্দরবানের থানচি থেকে কথাগুলো বলছিলেন চিত্রনায়িকা সায়মা স্মৃতি। তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে সন্ত্রাসীরা গান ফায়ার করেছে। যা চোখের সামনে থেকে স্পষ্ট দেখেছি। ওই সময় প্রতিটা সেকেন্ডে বুক ধড়পড় করছিল।
এ অভিনেত্রী বলেন, বুধবার বিকেলের দিকে একটা লেকে অল্প পরিসরে শুটিংয়ের জন্য গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়রা আমাদের শুটিং দেখার জন্য ভিড় জমায়। জেনেছি এর আগে সেখানে আমাদের মতো ওপেন শুটিং হয়নি। তো কিছুক্ষণ শুটিং করার পরই কয়েকটি গাড়ি আসে এবং তারা তিনটি গান ফায়ার করে।
ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন আমাদের বলছিল যে, আপনারা শিগগিরই চলে যান। প্রাণে বাঁচতে চাইলে চলে যান। পরে আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, তখন দৌড়াদৌড়ি শুরু করি। কিন্তু কোনো গাড়ি ছিল না। পরে বিজিবির সহায়তায় আমরা কোনোভাবে ওই জায়গা ত্যাগ করি। তারপর বান্দরবান শহরে আসি।
এ নায়িকা আরও জানান―শ্যামল মাওলা ভাইসহ কয়েকজন অভিনেতা গত রাতেই ঢাকায় ব্যাক করেছেন। কিন্তু আমরা কয়েকজন টিকিট পাইনি বলে ফিরতে পারিনি। আশা করছি আজকে ফিরতে পারব।
গত ১ এপ্রিল বান্দরবানের থানচির একটি দুর্গম এলাকায় শুটিংয়ের জন্য যায় ‘নাদান’ সিনেমার টিম। কিন্তু বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সেই এলাকার একটি সোনালী ব্যাংকে পাহাড়ি অঞ্চলের সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন হামলা চালায়। এরপর ব্যাপক গোলাগুলি হয় সেখানে। ফলে সিনেমাটির শুটিং ইউনিটের প্রায় ১০০ সদস্য আটকা পড়ে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল রুমাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংকের একজন কর্মকর্তাকে অপহরণ করে।