ঘটনাটি উপজেলার ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের রঘুদেবপুরে ৩০শে মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাতে ঘটেছে।
জানা যায় রঘুদেবপুর শ্রী শ্রী শ্মশ্মান কালি মন্দিরে গত ২৯ মার্চ পূরাতন কালি প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে এ বছরের জন্য গত ৩০ মার্চ নতুন প্রতিমা স্থাপন করে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত পূজা অর্চনা করে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরদিন ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮ টায় মন্দিরের ভিতরে থাকা কালি প্রতিমা মাথা ভাঙ্গা ও এলোমেলো অবস্থায় মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এতে স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিমা ভাঙচুর করে সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননার করায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কালী প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে বিরল থানার অভিযোগে সুত্রে জানা যায়। উপজেলার ১০ নং রাণীপুকুর ইউনিয়নের বহবল দিঘী গ্রামের মৃত শুকুরাম সরকারের ছেলে নোপেন্দ্র নাথ সরকার জানান, উপজেলার রঘুদেবপুর মৌজার সিএস/এসএ ১ নং খতিয়ানভূক্ত ১৭০ নং দাগে অবািস্থত কালি মন্দিরের জমি নিয়ে রঘুদেবপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম এর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলামদের সাথে ১২ বছর পূর্ব হতে বিরোধ ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
এবিষয়ে বিরল থানা অফিসার ইনচার্জ গোলাম মওলা শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান থানা মামলা হয়েছে। তদন্ত চলমান ও খুব শীঘ্রই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।