ফের ধর্ষণের অভিযোগ টাঙ্গাইলের বড় মনিরের বিরুদ্ধে
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
এবার অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভির হাসান ছোট মনিরের ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতভর নাটকীয়তার পর ধর্ষণের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েছে তুরাগ থানা। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় গড়িমসি করছে পুলিশ। আর পুলিশ বলছে, আসামি শনাক্তের পরেই নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই মাস আগে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার জমজম টাওয়ারে দেখা করেন তাঁরা। শুক্রবার রাতে দেখা করার জন্য ভুক্তভোগীকে একটি রেস্টুরেন্টে ডাকেন বড় মনির। সেখান থেকে অস্ত্রের মুখে ভুক্তভোগীকে তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটিতে নিজ ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করেন বড় মনির। ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি ওনাকে বড় ভাইয়ের মতো ভাবতাম। উনি আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমি বার বার ওনার কাছে মাফ চেয়েছি যাতে আমার কোনো ভুল থাকলে আমাকে মাফ করে দেয়। তবুও রেহাই মেলেনি।’ ভুক্তভোগীর দাবি, সুযোগ পেয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে নিজের বাবাকে ফোন করেন তিনি। বাবা ঘটনাস্থলে আসলে জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯) নম্বরে কল করলে আসে পুলিশ। পরে ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বড় মনির প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। তাঁকে নিয়ে একাধিকবার থানা ও ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আসামির নাম অজ্ঞাত উল্লেখ করে অভিযোগ নেয় পুলিশ। এনিয়ে তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু সাঈদ মিয়া বলেন, অপরাধ যে করবে সে অপরাধি। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী নাকি তা দেখার সুযোগ নেই। অনুসন্ধান চলছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। এরআগে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এশা মির্জা নামের এক নারী অভিযোগ করেন, বড় মনির ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাঁকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী। পরে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী এলাকা থেকে এশার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে জানায় পুলিশ। ওই মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন বড় মনির।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |