দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
ছাত্ররাজনীতি ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুয়েটের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছন। তারা ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। বুয়েটের শহীদ মিনারের পাদদেশে তারা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। আবরার হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। আর ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। এরপরই ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি পেশ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হলের আবাসন বাতিল; ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম থেকে বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এ ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর ও জবাবদিহি, উল্লিখিত দাবিগুলো আজ শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এবং এর প্রতিবাদ হিসেবে আজ ও আগামীকালের টার্ম ফাইনালসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না এ মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে রাতেই ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বির আবাসিক হলের আসন বাতিল করে প্রশাসন। পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার দিকে বুয়েট প্রশাসন নোটিস বোর্ডে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে দেয়। ইমতিয়াজ রাব্বি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |