কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন
আহম্মেদুল কবির,কুড়িগ্রাম
|
![]() কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন ভূটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াচুাং। দুপুরে ১৪ সদস্যের সফরসঙ্গী নিয়ে কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব পাশে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধরাম এলাকার ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াচুাং। রাজা তার সফরসঙ্গী নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পর সড়ক পথে বেলা ১২ টার দিকে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, কুড়িগ্রাম ধরলা নদীর পূর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির ওপর জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। গত সোমবার ২৫ মার্চ ৪ দিনের সফরে ভুটানের রাজা বাংলাদেশ সফরে আসলে বাংলাদেশ ও ভুটান দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি নবায়ন হয়। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এর আগে গত২১ মার্চ প্রেসক্লাব- কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায়, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কুড়িগ্রাম জেলায় হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এরইমধ্যে ১৩৩ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮৬ একর জমির অধিগ্রহণের বন্দোবস্ত চলছে। এখানে মোট ২১১ একর জমির প্রয়োজন হবে। গত ১০ মার্চ ভুটানের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে এসেছিলেন। ভুটান অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। এতে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন মাইলফলক উন্মোচন হবে। আজ কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন সময়কালে বিশেষ করে কর্মহীন মানুষজনের মাঝে আশার সঞ্চার জেগে উঠেছে। পরিদরশন শেষে ভুটানের রাজা সড়কপথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |