ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মহা সড়কের পাশে ইফতারি হাতে মেয়র স্বপন মিয়াজী
এনামুল হক বাদশা, ফেনী
প্রকাশ: Thursday, 28 March, 2024, 2:33 PM

মহা সড়কের পাশে ইফতারি হাতে মেয়র স্বপন মিয়াজী

মহা সড়কের পাশে ইফতারি হাতে মেয়র স্বপন মিয়াজী

ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী চলতি বছরও পথচারীদের মাঝে বিনামূল্যে ইফতারি বিতরণ করছেন। প্রতিদিন বিকেল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনি পরিবহন স্টাফ ও পথচারীদের মাঝে এ ইফতারি বিতরণ শুরু করেন। গত আট বছর ধরে তিনি এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ফেনী পৌরসভার আয়োজনে পৌর চত্বরে প্রতিদিন ২০০ পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন মেয়র স্বপন মিয়াজী। একই সঙ্গে পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১০ হাজার লিটার সুপেয় পানি বিতরণ করেন।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, 'প্রতিবছর আমার নিজ উদ্যোগে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করি। নয় বছর ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহনচালক, শ্রমিক ও পথচারীদের কথা চিন্তা করে ইফতারি বিতরণ করছি। একজন রোজাদারকে ইফতারি দিতে পেরে নিজের মাঝে যে আনন্দ তৃপ্তি পাওয়া যায়, অন্য কিছু করে তা পাওয়া যায় না।'


মেয়র স্বপন মিয়াজী আরও বলেন, 'প্রথম রমজানে আমরা ৫০০ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছি। রমজান যত বাড়ে ততই প্যাকেটের পরিমাণও বাড়ে। ৫০০ থেকে শুরু হয়েছে কয়েক দিন পরে এক হাজার, এরপর এক হাজার ৫০০ প্যাকেট পর্যন্ত আমরা এখানে বিতরণ করি। যত বেশি চাহিদা হবে তত বেশি প্যাকেট আমরা দেব, যেন কোনো মানুষ খালি হাতে না যায়।'

সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস দেখে সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে অসহায়, হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন। এমনটা হলে আমার ইফতারি দেওয়া শতভাগ সফল হবে এবং রোজায় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ অনাহারে ও কষ্টে দিন কাটাবে না।'

ইফতারি পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, 'ইফতারির প্রতিটি প্যাকেটে খেজুর, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি, পানি থাকে। এ ছাড়াও প্রতি শুক্রবার বিশেষ দিন হিসেবে গরুর মাংসের বিরিয়ানি দেওয়া হয়।'

ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বলেন, 'পৌর মেয়র মহিপাল মোড়ে ইফতারি সামগ্রী বিতরণ করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তাকে দেখে সমাজের বিত্তবানরাও উৎসাহিত হবেন।'

শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহনচালক-শ্রমিক নয়, আশপাশের মসজিদ, মাদ্রাসা ও সড়কে পথচারীদের মাঝেও তিনি ইফতারি তুলে দেন। এ ছাড়া প্রতিদিন অসহায়, হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা তার ব্যক্তিগত অফিসের সামনে বসে ইফতারি করেন।

ইফতারের পরে রোজাদারদের জন্য চা চক্রেরও আয়োজন করেন তিনি। আর এসব চা চক্র আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ইফতারি ও চা চক্রে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি হাজারও মানুষ।

 শহরের সহদেবপুর থেকে ইফতারি নিতে আসা আবদুল করিম বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে রমজানের ইফতারি আমি এখান থেকেই নিচ্ছি। মেয়রের দেওয়া খাবারেই আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতারি করি।'

একটি ওষুধ কোম্পানির গাড়িচালক আবদুল মোতালেব বলেন, 'কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাই। ফেরার পথে মেয়রের দেওয়া ইফতারি নিয়ে যাই। সারা দিন পরিশ্রম করে ইফতারি তৈরি করা সম্ভব হয় না। ৩০ রমজানের মধ্যে অধিকাংশ দিনই এখান থেকে ইফতারি নিয়ে যাই।'

ট্রাকচালক জব্বার আলী বলেন, 'রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতারি করতে অনেক সমস্যা হয়। সময় ও ইফতারি কোনোটার মিল হয় না। ফলে অনেক সময় আমরা পানি পান করার মাধ্যমে ইফতারি করি।'

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status