বরগুনার পাথরঘাটায় বন্য শূকরের আক্রমণে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়িয়া ও টেংরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে, গাব্বারিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেলায়েত মীর (৬০) ও তার ছেলে ইব্রাহিম মীর (৩৫) একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে আব্বাস (৩৩), আব্দুর রবের মেয়ে ছকিনা (৩২), ও বড় টেংরা এলাকার হানিফ মোল্লার ছেলে সাইফুল মোল্লা (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. জসিম হাওলাদার জানায়, হঠাৎ করে বসতবাড়ির বাগান থেকে একটি বন্য শূকর বেরিয়ে বেলায়েত মীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় বাবার চিৎকার শুনে বাঁচাতে ছেলে ইব্রাহিম মীর গেলে তাকেও কামড় দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। পরে খালের ওই পাড়ে ছকিনা বেগমকে তাড়া করে তাকেও কামড় দেয়। পরে পার্শ্ববর্তী বড় টেংরা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মোল্লাকেও কামড় দেয়। প্রত্যেকের পায়ে ও হাতে এবং পিঠে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনার পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রাশিদা আনজুম হেনা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরমধ্যে বেলায়েত মীর ও সাইফুল মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ডাক্তার রাশিদা আনজুম হেনা বলেন, প্রত্যেকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় শূকরের কামড় রয়েছে। তাদের ৫ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
টেংরা বিট কর্মকর্তা আরিফ রহমান বলেন, শুকর মানুষকে শুধু শুধু কামড়ায় না, হতে পারে শুকর কে ধরার জন্য কেউ হোত পেতে ছিলো সে কারনেই তাড়া খেয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে এসে মানুষের ওপরে আক্রমণ করেছে, তবে বর্তমানে শুকরটি গভীর জঙ্গলে চলে গেছে।
জানতে চাইলে বন বিভাগের পটুয়াখালী বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম জানান, সংরক্ষিত বনের ওই শূকর হত্যা বেআইনি। মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।