ছুটির আগেই শ্রমিকদের ঈদ বোনাস, বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
আসন্ন রোজার ঈদের আগেই তৈরি পোশাকসহ সব খাতের শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বুধবার শ্রম প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এর ৭৭ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মালিক- শ্রমিক উভয়ের মধ্যে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সাথে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী আসন্ন ঈদ-উল- ফিতরের ছুটি দেওয়া হবে। কোনো ক্রমেই ঈদের ছুটি সরকারি ছুটির কম হবে না। ঈদের পূর্বে কোন শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না।’ সভায় শ্রম সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তরিকুল আলম, বাংলাদেশ এমপ্লায়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আর্দাশির কবির, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান উপস্থিতি ছিলেন। ঈদের বেতন বোনাস নিয়ে শঙ্কায় ৪১৬ কারখানাঈদের বেতন বোনাস নিয়ে শঙ্কায় ৪১৬ কারখানা গত ২৫ মার্চ শিল্প পুলিশের সঙ্গে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের এক সভার পর্যালোচনায় জানানো হয়, এবার ঈদে শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যায় পড়তে পারে ৪১৬টি শিল্প কারখানা। এর অর্ধেকের বেশি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য। সেই সভায় কারখানা মালিকরা জানান, ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া, গ্যাস সংকটসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণে চাপে আছে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প। যার প্রভাব পড়ছে শ্রমিকের বেতন ভাতা পরিশোধে। মার্চ মাস শেষ হতে চললেও এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে পারেনি অনেক কারখানা। এর ওপর যুক্ত হচ্ছে ঈদ বোনাস। সংকট আছে অন্য খাতের কারখানায়ও। শিল্প পুলিশের হিসাবে, ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা ৪১৬টি। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ১৭১টি, বিকেএমইএর ৭১টি, বিটিএমএর ২৯, বেপজার ১৩ এবং এসবের বাইরে ১৩২টি। ৩ হাজার ৬০০ কারখানার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে শিল্প পুলিশ।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |