আয়ূর্বেদিক কলেজের প্রভাষক আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়
নতুন সময় প্রিতেবদক
|
![]() আয়ূর্বেদিক কলেজের প্রভাষক আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় তিনি বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও সচিবালয়ে একের পর এক তার সিনিয়র সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কাউকে জামাত শিবির, ও বিএনপির তকমা লাগিয়ে অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এহেন অভিযোগে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কোন তদন্ত কমিটি গঠন না করে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক চিকিৎসক কর্মকর্তা ও ছাত্র সংসদ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-ছাত্রীরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বরাবর গণ স্বক্ষর করে তারা আবেদন করেন।একমাত্র অতিবাহিত হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনকে তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ আলমগীর হোসেনের নাম সংযুক্ত করে সুপারিশ করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ![]() সরকারী ইউনানী ও আয়ূর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ডা. শারিক হাসানকে স্বাদেচিপ কর্তৃক জামাত-শিবির বলায় ছাত্র সংসদের বিক্ষোভ কর্মসূচি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ছাত্রদের অবৈধ সুবিধা, হাসপাতালের রুম দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রসাশনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অপব্যবহার অধ্যক্ষকে হুমকি, অসৌজন্য আচারণ এর অভিযোগ এনে সরকারী ইউনানী ও আয়ূর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ-কাম-অধীক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ স্বপন কুমার দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরারবর আবেদন করেন। এ ছাড়াও একই অভিযোগ এনে হোমিও ও দেশজ চিকিৎসার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ নাদিরুল আজিজও তার বিরুদ্ধে ওদ্ধত্যপূর্ন্য আচরণের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে গত ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। একই ভাবে ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল হোমিও ও দেশজ চিকিৎসার পরিচালক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান ও একটি চিঠি ইস্যু করেন। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টম্বর হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা এবং লাইন ডাইরেক্ট অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) পরিচালক ডাঃ মোঃ হুমায়ুন মোল্লা মোঃ আলমগীর হোসেনের কাছে কারন ও ব্যাখা চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন সরকারী কর্মচারী শৃংখলা ও আচারণ বিধি ১৯৮৫ এর পরিপন্থী বিধায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধিমালার আওয়তায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না। অপর একটি চিঠিতে ইখলাস আহমেদ নামে এক ব্যক্তি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর অভিযোগে বলেন, নীতি বিবর্জিত নিচ মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই তিনি অনেক ধরনের দূনীর্তিতে জড়িত আছেন। বিভিন্ন দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এক সময় চাকুরিচ্যুত ও হয়েছিলেন। এদিকে সরকারী ইউনানী ও আয়ূবের্দিক মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আলমগীর হোসেন নিজেকে সেচ্ছসেবক লীগের নেতা দাবি করে ওই কলেজে বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে। সরকার দলের নেতা হওয়ার সুবাধে তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খূলতে সাহস পায় না। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে নিজেকে সরকার দলের কর্মী বলে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ ওই কলেজের অধিকাংশরাই তার এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি যাতে ওই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেতে না পারেন এ লক্ষ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে আসেছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |