বিশ্বকাপে মেসির ক্লোন নামিয়েছিল আর্জেন্টিনা
নতুন সময় ডেস্ক
|
নব্বইয়ের দশকে বেশ নিয়মিত হয়ে উঠেছিল ইউএফও (আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট)। দেখা পরিচিত নয় এমন কোনো উড়াল দেখলেই তাঁকে ইউএফও বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের যান বলে দাবি করা হতো। ইউএফও ও ভিন গ্রহের প্রাণী নিয়ে গবেষণাকে আলাদা একটি বিষয় হিসেবেই স্থান করে নিয়েছে অনেক দেশে। ইউফোলজি হলো সেই বিদ্যা। উরুগুয়ের এমন এক ইউফোলজিস্ট হাভিয়ের পেদ্রো গঞ্জালেস। এই স্ব-স্বীকৃত বিজ্ঞানীর দাবি, ২০২২ বিশ্বকাপ জিততে লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়ার ক্লোন ব্যবহার করেছে আর্জেন্টিনা। ইউটিউবার লরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসে এমন চমক জাগিয়েছেন পেদ্রো গঞ্জালেস। সে সাক্ষাৎকারে যা যা বলেছেন, তাতে মেসি ও দি মারিয়ার ক্লোন আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছে এটাই সবচেয়ে কম চমক জাগানো। তাঁর দাবি ২০২২ বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনাকে জিততেই হতো। আর তা নিশ্চিত করতে দলে একাধিক ক্লোন ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা দুই ফুটবলার মেসি ও দি মারিয়াও নাকি ক্লোন ছিলেন। সেটা তিনি কীভাবে বুঝতে পেরেছেন তা জিজ্ঞেস করায় উত্তর দেন, ‘মেসির কান এলফদের (রূপকথার প্রাণী) মতো, উপরের দিকে খাড়া। কিন্তু বিশ্বকাপে মেসির কান গোল ছিল।’ আর আর্জেন্টিনাকে কেন বিশ্বকাপ জিততেই হতো, এর উত্তরটা ছিল আরও বিচিত্র, ‘আর্জেন্টিনাকে জিততেই হতো। ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনায় পুরো বিশ্ব আশ্রয় নেবে এবং কোটি কোটি মানুষ সেখানে থাকতে আসবে।’ পেদ্রো গঞ্জালেসের দাবি, মেসি ও দি মারিয়ার ক্লোনগুলো একটি গ্রুপের সদস্য, যাদের ‘ক্লাস ওয়ান’ বলে ডাকা হয়। খেলাধুলায় এখন তাদের প্রচুর ব্যবহার বেড়েছে, কারণ, অন্যদের তুলনায় তাঁদের গতি বেশি। শুধু আর্জেন্টিনা নয়, অন্য দলও ক্লোন ব্যবহার করেছে বলে দাবি উরুগুয়ের এই ইউফোলজিস্টের। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা ও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার কিলিয়ান এমবাপ্পেরও নাকি ক্লোন খেলেছেন বিশ্বকাপে। তাঁর দাবি, ‘কাতারে ক্লোন ভর্তি ছিল, সবাই তাদের দেখলেও বুঝতে পারেনি কেউ, এমবাপ্পেও (ক্লোন)।’ শুধু আর্জেন্টিনা বা ফ্রান্স না, প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা মরক্কো দলের ব্যাপারেও একই মত পেদ্রো গঞ্জালেসের। তাঁর দাবি, দলে একাধিক ক্লোন থাকার কারণেই সবাইকে চমকে দিয়েছে মরক্কো। ক্লান ছাড়া নাকি এমন কিছু সম্ভব হত না আরব দলটির। মার্চের শুরুতে দেওয়া এই সাক্ষাৎকার বেশ ভাইরাল হয়েছে। এমনকি আর্জেন্টিনার ওলে ও ক্লারিন-এর মতো বেশ কিছু গণমাধ্যম এ সংবাদ ছাপিয়েছে। তবে পেদ্রো গঞ্জালেসের কথা গুরুত্ব দিয়ে হয়তো না দেখলেও চলে। হাজার হলেও নিজেকে অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক এলিয়েন (ভিনগ্রহের প্রাণী) বলে দাবি করেন তিনি।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |