এ বছর যেমন থাকবে চাল–গম–তেলের দাম
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
করোনার পর এসেছে যুদ্ধ। জিনিসপত্রের দামে নাভিশ্বাস উঠছে বিশ্ববাসীর। এবার এ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিল ইকোনোমিস্ট। তিন বছরের কঠিন সময়ের পর ২০২৪ সালে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইকোনোমিস্টের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইআইইউ। ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের কারণে সুয়েজ ও পানামা খাল দিয়ে পণ্য সরবরাহে প্রায়ই ঝামেলা হচ্ছে। এ ছাড়া ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণেও কৃষ্ণসাগর দিয়ে আসছে কম পণ্য। এসবের পরও ২০২৩ সালের অস্থিতিশীল বাজার ২০২৪ সালে কম সংকটে থাকবে। আর ২০২৫ সালে এটি পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। তবে খাদ্যদ্রব্য ও বেভারেজের দাম বিশ্বব্যাপী বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছে ইকোনোমিস্ট। এল নিনো ও রাশিয়া–ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়বে কফি ও পানীয়র দামে। এ কারণে এসবের দাম বাড়তে পারে। এল নিনোর প্রভাবটা পড়বে বছরের মাঝামাঝিতে। এর আগেই অবশ্য কফি ও কোকোয়া উৎপাদনে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এই দুটি উপাদানের উৎপাদন যথাক্রমে ৯ ও ১৩ শতাংশ কমেছে। কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তিতে আর নেই রাশিয়া। এ কারণে গম, তেলবীজ ও ভুট্টার দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা এ বছরও রয়েছে। তবে বিকল্প পথে এসব পণ্য ইউক্রেন থেকে সরবরাহ শুরু হওয়ায় শঙ্কা আগের চেয়ে এ বছর কম থাকতে পারে। যদিও দাম আগের অবস্থায় নিয়ে আসা বেশ কঠিন। ইকোনোমিস্ট বলছে, আসবেই না। এ বছর চালের দাম বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইকোনোমিস্ট। এর কারণ হিসেবে ভারতের চাল সরবরাহে বিধিনিষেধের ইস্যুকে উল্লেখ করা হয়। তবে এ বছর তেলবীজের দাম স্থিতিশীল থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সরবরাহকারীরা হুট করে এই বাজার অস্থির করে তুলতে পারেন। ইকোনোমিস্ট বলছে, এ বছর সয়াবিনের উৎপাদন বাড়তে পারে। আর পামতেলের দাম কমই থাকবে। তবে ধাতব জিনিসপত্রের দাম এ বছর ৩ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ইকোনোমিস্ট। গত বছর এই দাম ১১ শতাংশ কম ছিল। এর কারণ, পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম এ বছর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধাতব উপাদানের মধ্যে রয়েছে নিকেল। এ ছাড়া অ্যালুমিনিয়াম ও কপারের দামও বাড়তে পারে। এ বছর ইউরোপীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণ চাহিদা কমে যাওয়া। তবে ইসরায়েল–হামাস সংঘাতকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে সরবরাহকারীরা বাড়িতে দিয়ে পারেন এর দামও। এ ছাড়া এলএনজি, কয়লার দামও কমবে। তবে অপরিশোধিত তেলের দামে সুখবর নেই। ইকোনোমিস্ট বলছে, আমেরিকায় বেড়েছে উৎপাদন ও সরবরাহ। বিশ্ববাজারে এ খাত থেকে আগের মতো লাভ আসতে শুরু করেছে। কিন্তু সৌদি আরব ও ওপেকের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছর তেলের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ হতে পারে। আগামী বছরগুলোতেও এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |