বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দলে অনেক মন কষাকষি হয়েছে। যেটা হয়েছে ভুলে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যদি সমস্যা দেখা দেয়, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি আছি। দেখবো। নিজেরা সংঘাত করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ কথা বলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর এটি আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বর্ধিত সভা। জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতারা এই সভায় অংশ নিয়েছেন। রয়েছেন দলীয় সংসদ সদস্যরা, পাশাপাশি দলের সমর্থক স্বতন্ত্র এমপিরাও। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ছিলো। তার অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। বিদেশী প্রভুদের নিয়ে তারা আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে চেয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও নির্বাচন ঠেকানো যায়। সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নির্বাচন করেছি। নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যাতে প্রতিদ্বন্ধিতামূলক হয়। অনেক দেশ বলে, নির্বাচনে নাকি সমস্যা ছিলো। আমার কথা হলো, কীভাবে কোথায় সমস্যা, সেটা বলতে হবে। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়েছে। অনেক দেশে এখনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে। সেসব কিছু বাংলাদেশে হয়নি। অভিযোগ করলে, প্রমাণ দিতে হবে। তিনি বলেন, স্যাংশনের ভয় দেখাতে আমি নিষেধ করেছি। আগেই বলে দিয়েছি, স্যাংশন আমরাও দিতে পারি। স্যাংশনের নিয়মকানুন আমিও জানি। শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তিনি সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৩ বছর ৭ মাস। এই সময়েই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশে আর কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি বলেন, ২১ বছর একনায়করা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনেছে। এরপর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে নিয়োজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো একটা দল টানা চারবার ক্ষমতায় আসা, সহজ কথা না। আমরা উন্নয়ন করেছি। তৃণমূলে উন্নয়ন করেছি। যার ফলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এবারও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করে মানুষের সেই আস্থার মূল্য আমরা দেবো।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |