ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পাকিস্তানে নির্বাচন: ইমরান সমর্থিতরা জয় পেলে কী হবে?
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Friday, 9 February, 2024, 5:27 PM

পাকিস্তানে নির্বাচন: ইমরান সমর্থিতরা জয় পেলে কী হবে?

পাকিস্তানে নির্বাচন: ইমরান সমর্থিতরা জয় পেলে কী হবে?

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে চলছে ফল প্রকাশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ঘোষিত সবশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতে আসে, তাহলে পাকিস্তানে কী ঘটবে বা ইমরান খানের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ।



পাকিস্তানে এবারের জাতীয় নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিতে পারেনি ইমরান খানের দল পিটিআই। বিকল্প হিসেবে পিটিআইয়ের সব প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়েছেন।

 

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর ফল ঘোষণা শুরু হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে আগে থেকেই বিতর্কিত পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। তবে ফল ঘোষণা শুরুর পর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন বলে দেখা গেছে।
 
আল জাজিরার সবশেষ ফলাফল মতে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৫টি আসনের মধ্যে (২৬৬টি আসনের মধ্যে একটিতে ভোট স্থগিত করা হয়) এখন পর্যন্ত ১২৪টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টিতেই জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যার বেশিরভাগই পিটিআই সমর্থিত।
 
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৩৮টি আসন। তরুণ নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর পাকিস্তান পিপল’স পার্টি নিশ্চিত করেছে ৩১টি আসন। আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৬টি। এখনও ১৪১টি আসনে ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে।
 
পিটিআইয়ের অভিযোগ, তাদের দলের নেতারা জয়ী হওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে।
 
পিটিআইয়ের প্রধান সংগঠক ওমর আইয়ুব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘বেশ কয়েকটি সার্কেলে রিটার্নিং অফিসারদের অফিসের স্ক্রিন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।’
 
 
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেটে দরজা বন্ধ করে ষড়যন্ত্র বা জালিয়াতি করা হলে ফলাফল খারাপ হবে।’ তার দাবি, তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা সম্ভাব্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফেডারেল সরকার গঠন করতে পারে। তবে নির্বাচনের সময় দেশজুড়ে ইন্টারনেট সমস্যা নির্বাচনী অনিয়ম ও উদ্বেগকে আরও উসকে দিচ্ছে।
 
কী হবে ইমরান খানের?
 

ইমরান খানের সাম্প্রতিক কারাদণ্ড পিটিআইয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। সরকারি অফিস থেকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাকে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। একদিকে তার অনুপস্থিতি অন্যদিকে প্রধান সহযোগীরা পলাতক বা জেলে থাকার কারণে দলীয় কাঠামো আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। 


এবারের নির্বাচনে আদালতের নির্দেশে পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক ব্যাটকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে পিটিআই সমর্থিত সব প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন। বর্তমানে ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গওহর আলি খান। তবে তিনি ইমরান খানের মতো তেমন জনপ্রিয় নন।
 
কী হবে পিটিআই-সমর্থিতরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে?
 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে আসতে পারেন তাহলে তারা নতুন করে একটি সাধারণ ব্যানারের নিচে এসে নতুন সরকার গঠন করতে পারেন। 
 
ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেরা সরকার গঠন না করলেও, অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে পারবেন।


আর পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করলে তারা ইমরান খানের তিন মামলার ব্যাপারে আদালতেও যেতে পারেন।
 
এছাড়া নতুন সরকার গঠনের পর সরকারি অফিসে ইমরান খানের নিষেধাজ্ঞা বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আদেশ পুনরায় বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও পাঠাতে পারেন তারা। 
 
কী হবে পাকিস্তানের?
 
ভোটের আগে থেকেই নির্বাচনী কারচুপি নিয়ে বিরোধী প্রার্থীরা আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। ভোটের দিন কথিত নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশটির মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপির উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। পিটিআইয়ের তথ্য সচিব রৌফ হাসান দলীয় এজেন্টদের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফলাফলে কারচুপির সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
 
দলীয়ভাবে পিটিআই নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় এমনিতে পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে মনে করা হচ্ছে। 


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকার কারণে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সর্বাধিক আসন পেতে পারেন। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, পিএমএল-এন ও পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্রদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলিয়ে সরকার গঠনের জন্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন যেকোনো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status