সীমান্তের ২ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ভবিষ্যৎ কী?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সীমান্তের দুই হাজার শিক্ষার্থী। মর্টারশেল গোলা ও হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলির ঝুঁকি থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে বন্ধ রাখা হয়েছে সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে বিপাকে পড়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার কেন্দ্র কোথায় হবে, কখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে এ নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই অভিভাবকদের। জানা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তের খুব কাছেই দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সীমান্তে গোলাগুলি, মর্টারশেলের গোলা নিক্ষেপ ও হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে গুলি। আরকান আর্মি ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন তুমুল লড়াই যা দেখা এবং বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে এই বিদ্যালয় থেকে। মাঝে মধ্যে তাদের ছোড়া গুলিও এসে পড়ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এমন অবস্থায় বন্ধ রাখা হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম উৎকণ্ঠায় সীমান্তের শিক্ষার্থীরা। আর এসএসসি পরীক্ষা এই কেন্দ্রে না অন্য কোথাও অনুষ্ঠিত হবে তাও জানে না তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। বিকট শব্দে বোমা পড়ছে বাসায়। সীমান্তের অস্থির পরিস্থিতির কারণে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। অভিভাবকরা জানান, গত বছরেরও পরীক্ষা বাতিল করে অন্য সময় হয়েছে। এবারও একই অবস্থা; পরীক্ষার সময় এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান অস্থিরতায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের নিরাপত্তার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘোষণা করা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রী রতন চাকমা জানান, সীমান্তের অস্থির পরিস্থিতির কারণে ৫টি স্কুল বন্ধ ও দুটি স্কুলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে সাতটি স্কলে আপাতত পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র কোথায় হবে, কখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে এ নিয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া দুটি স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে প্রাণভয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনা কর্মকর্তা এবং ইমিগ্রেশন সদস্যরার আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে বান্দরবানের তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে বন্ধ থাকা ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রায় ২ হাজার।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |