পঞ্চগড়ের সীমান্ত নদী থেকে থেকে মৃত চিতাবাঘ উদ্ধার
মুস্তাক আহমেদ, পঞ্চগড়
|
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকার নাগর নদী থেকে একটি মৃত চিতাবাঘ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিতাবাঘটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আটোয়ারী প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে আনা হয়েছে । ময়নাতদন্ত শেষে বাঘটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে রাখার জন্য পাঠানো হবে। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের দ্বারখোর এলাকার আকবর আলীর গরুটি হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যায়। গরুটি অন্য ব্যক্তির। তিনি লালন পালন করতেন। এই ক্ষোভে মৃত গরুটিতে বিষ প্রয়োগ করে নদীর পাড়ে ফেলে রাখেন আকবর। তার ধারণা ছিলো শেয়ালে আক্রমণ করে গরুটিকে মেরে ফেলেছে। মানুষ ধারণা করছে বাঘটি বিষাক্ত গরুটিকে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দ্বাড়খোড় সীমান্তের নাগর নদী সংলগ্ন ঈদগাহ এলাকায় নদীতে পানি খেতে এসে নদীর পাড়ে পড়ে যায় বাঘটি। সকালে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাঘটিকে নদীর পানিতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগে খবর দেয়। বন বিভাগের কর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে । তোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দ্বারখোর এলাকার আকবর আলীর গরুটি হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যায়। এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান বলেন, আমরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা। পঞ্চগড় সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মন বলেন, চিতাবাঘটি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আমরা বাঘটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পঞ্চগড়ে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে প্রবীন সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন চিতা বাঘের নামের সঙ্গে বাঘ থাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মানুষ যখন এদের ঘিরে বড় জমায়েত করে কিংবা একে আক্রমণ করে, তখন এরাও নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে পাল্টা আক্রমণ করে। যেকোনো প্রাণী এটাই করে। তখন মানুষ আরও ক্রুদ্ধ হয়ে এদের পিটিয়ে মেরে ফেলে। ওই এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান দেখছি। ইদানীং এ ধরনের চিতা বাঘ মারা পড়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করাই একমাত্র উপায়। চিতা বাঘ দেখা গেলেই যেন বন বিভাগকে জানানো হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বন বিভাগ, বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে পারেন। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |