চা বাগান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান উচু নিচু পাহাড় আনারস ও লেবু বাগান উভয়ের এক অভিন্ন প্রকৃতি
আফজল হোসেইন ,শ্রীমঙ্গল
|
![]() চা বাগান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান উচু নিচু পাহাড় আনারস ও লেবু বাগান উভয়ের এক অভিন্ন প্রকৃতি শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান: লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বধ্যভূমি-৭১,চা বাগান,টি রিসোর্ট,মোহাজেরাবাদ লেবু বাগান, আনারস বাগান, শ্রীমঙ্গল চা জাদুঘর, ডিনস্টন সিমেট্রি, চাকন্যা ভাস্কর্য, নির্মাই শিববাড়ি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন, খাসিয়াপুঞ্জি, টিপরা পল্লি, মণিপুরী পাড়া, গারো পল্লি, নীলকণ্ঠ টি কেবিন,বার্নিস টিলা,গলফ কোর্স,পাখি বাড়ি,বাদুর বাড়ি,লালমাটি পাহাড়, রাবার বাগান, মাধবপুর লেক, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল। বিশেষ করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান এবং অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনাঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাংলাদেশের ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে এটি অন্যতম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ১২৫০ হেক্টর আয়তনের বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। লাউয়াছড়া উদ্যানে বাংলাদেশ বন বিভাগ কর্তৃক স্থাপিত তথ্য বোর্ড। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে এই বনকে 'জাতীয় উদ্যান' হিসেবে ঘোষণা করে। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ এবং উদ্ভিদ। শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সবথেকে শীতল ও বৃষ্টিপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এরপরও এ অঞ্চল শীতকাল ছাড়া সারা বছরই নাতিশীতোষ্ণ থাকে শ্রীমঙ্গলে শীত মৌসুম (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) খুবই শুষ্ক থাকে। এসময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাৎসরিক সর্বমোট বৃষ্টিপাতের ৪ শতাংশেরও নিচে থাকে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা পশ্চিমা বায়ু শীত মৌসুমে বাংলাদেশের এই অঞ্চলে ৪০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকে।নভেম্বরের শুরুর দিকে শীতের এ আগমনের সঙ্গে অঞ্চলজুড়ে আসতে থাকে হাজার-হাজার পরিযায়ী পাখি।এখানকার বাইক্কা বিলের মৎস্য অভয়ারণ্যে সুদূর সাইবেরিয়া, মধ্য এশিয়া, ইউরোপ অঞ্চলসহ বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে অতিথি পাখিরা আসতে শুরু করে।এদের মধ্যে রয়েছে ল্যাঞ্জা হাঁস, বেগুনি কালেম, পাতি সরালি ইত্যাদি।এ অঞ্চলে দেশের মূল জনগোষ্ঠীর বাইরেও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে তাদের সকলের সংস্কৃতি এক নয়,সব জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি ও আচার আচরণ থাকে, যা জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে,এ জনগোষ্ঠী উৎসবমুখর। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বিস্তীর্ণ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত স্বতন্ত্র স্বত্বার উপজাতি জনগোষ্ঠী খাসিয়া,মণিপুরী,টিপরা ও গারোদের জীবনাচার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সাধারণ বাঙালীর থেকে ভিন্ন। আবার ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভাগ্যচন্দ্রের শাসনামলে মনিপুর রাজপুরুষ মোয়রাং থেম গোবিন্দের নেতৃত্বে একদল মনিপুরী মনিপুর রাজ্য ছেড়ে শ্রীমঙ্গলের খাসগাওয়ের রামনগরে এসে আবাস গড়েন।খাসগাওয়ে রয়েছে মোয়রাং থেম গোবিন্দের স্মৃতিস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ, যা একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর রয়েছে স্বতন্ত্র কৃষ্টি, সভ্যতা, ভাষা-সংস্কৃতি, আচার-আচরণ। তাছাড়া খাসিয়া নামক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরও আবাস্থল।কমলগঞ্জের মাগুরছড়ায় পাহাড়ের ওপর বিশেষভাবে নির্মিত ঘরে তারা দলবদ্ধভাবে বাস করছে।ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উপজাতিরা তারা পরিশ্রমী তারা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |