চলনবিলে মাছের অভাবে শুঁটকি চাটাই খালি, কর্মহীন শ্রমিকরা
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
|
উত্তরাঞ্চলের মৎস্য ভাণ্ডারখ্যাত সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার চলনবিলে ভরা মৌসুমেও খুব বেশি মাছের দেখা মিলছে না। ফলে শুঁটকির উৎপাদনের চাটাই খালি পড়ে আছে এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নারী ও পুরুষ। শুঁটকির ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল গফুর, দেলবার হোসেন, আলম ও নান্নু বলেন, চলনবিলের মহিষলুটি মৎস্য আড়তের আশপাশে ২৫টি শুঁটকির চাতাল ছিল। এবছর মাত্র ৫টি চাতালে শুঁটকি প্রস্তুত করা হচ্ছে। মাছের অভাবে ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছেন ২০ জন ব্যবসায়ী। তারা আরও জানান, প্রতিদিন একটি শুঁটকির চাতালে ৩০০ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার ও মৎস্য আড়ত ঘুরে ৩০-৫০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, চলনবিলের মিঠা পানির পুঁটি, খৈলসা, চান্দা, মলা, ইচা, টেংড়া, গুচি, ক্যাকিলা, টাকি, শোল ও বোয়াল মাছের শুঁটকির কদর রয়েছে দেশজুড়ে। আমেনা খাতুন, কমেলা খাতুন, জোসনা পারভিন, চম্পা পারভীন, সাজেদা বেগমসহ বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, শুঁটকির চাতালের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। এ বছর মাছের অভাবে অনেকের কর্মহীন দিন কাটছে। তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, বর্ষা মৌসুমের কয়েক মাস মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে চলনবিলে। এতে সুফল পাবেন মৎস্যজীবীরা। তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছেন, বিলের বিস্তীর্ণ মাঠের অনেক জায়গাতে এখনো পানি রয়ে গেছে। বিলের পানি একেবারে নেমে যাওয়ার সময় বেশি মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের শ্যামল হোসেন, আব্দুল কাদের ও বারিক মণ্ডল নামের তিনজন মৎস্যজীবী বলেন, বর্ষায় চলনবিলে মাছ ধরে সংসার তাদের। কিন্তু বিলের পানিতে তেমন মাছ নেই।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |