মন্দির-শশ্মানের জমি দখল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওবায়দুল ইসলাম রবি রাজশাহী
|
![]() মন্দির-শশ্মানের জমি দখল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি বিনয় সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত বুধবার (৮ নভেম্বর) কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ তুলে কিশমত হোজা গ্রামেরই একদল লোক রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করেছিলেন যে, এই মন্দির ও মহাশ্মশানের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলনে কেন নেই? তখন তারা বলেছিলো, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ এবং ব্যস্ত। অথচ তারা দুর্গাপুর থেকে রাজশাহী শহরে এসে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যা আমরা কেউই অবগত ছিলাম না।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে- ‘মন্দির ও মহাশ্মশানের ২২ বিঘা জমির মূল মালিক ছিলেন সুনীল কুমার, সুশীল কুমার, পরেশ কুমার ও শিতিশ চন্দ্র সিদ্ধার্থ।’ আসলে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে ২২ বিঘা জমি ও জমি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তবে মন্দির ও মহাশ্মশানের নামে মাত্র ১৪ শতাংশ জমি সরকার বাহাদুর প্রদান করেছিলেন। সেখানেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে অদ্যাবধি পুজা ও দাহকার্য বিনাবাধায় সম্পাদন করে আসছি।” সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘গত বুধবার কিশমত হোজা কালিমন্দির ও মহাশ্মশান কমিটির সদস্যবৃন্দের ব্যানারে অয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যাভরা লিখিত বক্তব্যটি আব্দুল লতিফ নামে যিনি পাঠ করেছেন ওই ব্যক্তিটি আসলে কে? সে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই দিন ওই ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরও ধোকা দিয়েছিল।’ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, “গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে ‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক একজন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় জামায়াত নেতা সোহরাব জমিগুলোর দলিল করে নিয়েছেন।’ সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বলতে আবদুল ওয়াদুদ দারকেই তারা বুঝিয়েছেন। অথচ দারা সাহেব আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় নেতা। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী এবং আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবসময় আগলে রেখেছেন। কেননা, রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুরে যত মন্দির, শ্মশান রয়েছে সবগুলোই আবদুল ওয়াদুদ দারা তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় সংস্কার ও আধুনিকায়ন করেছেন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য যা করেছেন অন্য কোনো সংসদ সদস্য তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তিনি বর্তমানে সংসদ সদস্য নন; তারপরও আমাদের স্বনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেভাবে সহযোগিতা করে আসছেন তা কল্পনাতীত। অথচ এমন একজন মানুষকে ধর্মীয় বিষয়ের সঙ্গে যখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয় তখন বোঝার বাকি থাকে না যে, কেন তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর পিছনে বড় ধরনের অপশক্তি কাজ করছে বলে আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান।” সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দুর্গাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আনন্দ সরকার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দুর্গাপুরের সভাপতি তারকনাথ মজুমদার,সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার শাহা প্রমুখ।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |