ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
সদস্য হোন |  আমাদের জানুন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮ আশ্বিন ১৪৩০
কী ঘটেছিল বারডেমে, আরো যা জানা যাচ্ছে
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 14 September, 2023, 1:19 AM
সর্বশেষ আপডেট: Thursday, 14 September, 2023, 2:35 PM

কী ঘটেছিল বারডেমে, আরো যা জানা যাচ্ছে

কী ঘটেছিল বারডেমে, আরো যা জানা যাচ্ছে

ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্টরা। সেদিন এডিসি হারুন-অর রশীদ, এডিসি সানজিদা এবং প্রেসিডেন্টের এপিএস আজিজুল হক মামুনের মধ্যে কী ঘটেছিল তাও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। তবে তাদের ব্যক্তিগত ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের উপর নৃশংস হামলা ও মারধরের বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। কোনো ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণের হতবাক সবাই।

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার মেয়াদ আরও ৫ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে। কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার তাদেরকে এই সুযোগ দেন। কমিটির সদস্যরা গত কয়েকদিন ধরে বারডেম হাসপাতাল ও শাহবাগ থানার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত কর্মকর্তারা বেশকিছু তথ্য পেয়েছেন। ওইদিন থানা ও হাসপাতালে কী হয়েছিল? কারা কারা উপস্থিত ছিল। কাদের  কি  ভূমিকা ছিল। ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে।

থানায় মারধরের সময় কারা উপস্থিত ছিল। ফুটেজ দেখে সেখান থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে কমিটির সদস্যরা। 

ইতিমধ্যে ওইদিন হাসপাতালে কী ঘটেছিল এ সংক্রান্ত ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজও নতুন সময়ের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, ইটিটি করাতে ৪০২৩ নম্বর কক্ষে হাসপাতালের ড্রেসপরা এডিসি সানজিদা বলছেন, আমি এই কক্ষে আছি। ননসেন্স। পাশ থেকে এপিএস মামুন বলছিলেন, এই ভিডিও করো। এ সময় এডিসি হারুনকে ইটিটি কক্ষ সংলগ্ন একটি জানালার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। নিরাপত্তাকর্মী ওয়ারেজ তখন কক্ষ থেকে সবাইকে বের হয়ে সামনের দিকে যেতে বলেন। নিরাপত্তাকর্মী তখন তাদের থামাতে বলেন, প্লিজ স্যার। প্লিজ। কক্ষে সব মিলিয়ে ৭ থেকে ৮ জনের উপস্থিতি ছিল। কিছুক্ষণ পর থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং তাদের থানায় নিয়ে যান। এ দিকে ঘটনার বর্ণনা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। 

নাঈম বলেন, রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন ভাই আমাদের পূর্বপরিচিত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি হাসপাতালে যেতে বলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর দেখি এডিসি হারুনের সঙ্গে মামুন ভাইয়ের স্ত্রী সানজিদা এবং এডিসি হারুনের সঙ্গে তর্ক করছেন মামুন ভাই। স্ত্রীর সঙ্গে এডিসি হারুনের সম্পর্কের বিষয়টি মামুন ভাই হয়তো আগে থেকেই জানতেন। 

আমি কিছুক্ষণ পরে সেখানে যাই। পরে এডিসি হারুন শাহবাগ থানায় ফোন দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দুই পরিদর্শক সহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে ডাকেন। শাহবাগ থানার ওসি ছাত্রলীগের আরেক নেতাকে দুই হাত দিয়ে দু কানে এলোপাতাড়ি থাপড়াচ্ছিলেন। এভাবে থাপড়াতে থাপড়াতে তাকে থানায় নিয়ে যান। এসময় এপিএস মামুন ভাইকে দু’হাত পিছমোড়া করে নিয়ে যায় থানায়। যে কক্ষে মামুন ভাইকে বসিয়ে রাখা হয় সেখানে আমি প্রবেশ করি। তারা মামুন ভাইকে চড় থাপ্পড় মারছিল। 

আমি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এডিসি হারুন বলেন, এই ধর ধর ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। এরপর প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সদস্য আমাকে লাথি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। মুখ নিরাপদ রাখতে আমি দু’হাত দিয়ে ধরে রাখি। এসময় এডিসি হারুন একটি পিস্তলের পেছনের অংশ দিয়ে আমার মুখের সামনের অংশে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সামনের অনেকগুলো দাঁত আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু পড়ে যায়নি। নাকের উপরের অংশের হাড় ভেঙে গেছে। নাকের সার্জারি করতে হবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তরল এবং নরম খাবারের বাইরে কিছুই খেতে পারি না।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, ১৭/ডি আজাদ সেন্টার, ৫৫ পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status