বরখাস্ত ডিএজি এমরানের পরিবার এখন কোথায়?
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() বরখাস্ত ডিএজি এমরানের পরিবার এখন কোথায়? সি-ব্লকের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ এবং ডিবি সদস্য এমরানের বাসায় যান। এ সময় তারা আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এমরানের ফ্ল্যাটে যান। তার নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেন। বাসার মূল প্রবেশদ্বারে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের বাইরে থেকে কারা বাসায় আসছেন এবং ভেতরে প্রবেশ করছেন সে বিষয়ে জানতে চান। যারা এমরানের বাসায় প্রবেশ করবেন তাদের বিস্তারিত নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে বলেন। এ মুহূর্তে বাইরে থেকে কেউ যেন এমরানের বাসায় প্রবেশ করতে না পারেন সে বিষয়ে সতর্ক করেন নিরাপত্তাকর্মীদের। এমরান আহাম্মদ এর বাসায় পুলিশ আসার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা বলেন, শুক্রবার রাতে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আমিও তার বাসায় যাই। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে গণমাধ্যমকে জানানোর পর আমরা তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাসায় যাই। তিনি কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কি না কিংবা কোনো ধরনের আইনি সহয়তার প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাই। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমরা গিয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, না তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। তার পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, তার নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন। এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া নিজের নিরাপত্তা শঙ্কার কথা পুলিশকে জানাননি। এছাড়া আমাদের (ডিবি) কাছেও আসেননি। তিনি আমাদের না জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন। শনিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। হারুন বলেন, উনি ইনসিকিউরড ফিল করছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। মার্কিন দূতাবাসে উনি কেন গিয়েছেন তা জানি না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় অনেকেই সেখানে যান। এরমধ্যে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেখানে (দূতাবাসে) যান। অনেকেই পলিটিক্যাল এসাইলাম পাওয়ার জন্য সেখানে যান। তার নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা থাকলে থানা পুলিশ কিংবা ডিবি’র কাছে আসতে পারেন। এর আগে গত শুক্রবার ডিএজি’র পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর পুরো পরিবার নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন এমরান আহমেদ। পরে সেখান থেকে রাতে লালমাটিয়ার বাসায় যান তিনি।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |