ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
সদস্য হোন |  আমাদের জানুন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১
সিলেটে ৩ খুনের সন্দেহের তালিকায় গৃহকর্তা নিজেই
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 17 June, 2021, 2:33 PM

সিলেটে ৩ খুনের সন্দেহের তালিকায় গৃহকর্তা নিজেই

সিলেটে ৩ খুনের সন্দেহের তালিকায় গৃহকর্তা নিজেই

সিলেটের গোয়াইনঘাটে মা ও দুই সন্তানকে খুনের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় আছেন গৃহকর্তা হিফজুর রহমান (৪০)। পুলিশের তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। আহত হিফজুর রহমান বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), তাদের বড় ছেলে মিজানুর রহমান (১২) ও ছোট মেয়ে তানিশা বেগমের (৩) লাশ পাওয়া যায়। এসময় আহত অবস্থায় পাওয়া যায় হিফজুর রহমানকে। পরে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তিনজনের লাশ ও গৃহকর্তা হিফজুরকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় পূর্বশত্রুতার বিষয় সামনে নিয়ে তদন্ত করা হয়। তবে সেখানে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ নিয়েও তদন্ত করছিল পুলিশ। এতে কিছু রহস্যের সন্ধান পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বঁটি হিফজুরের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হিফজুরের আচরণ এবং তাকে যে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি অনেকটা সন্দেহজনক।

এদিকে ঘটনা তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পুলিশ দুইটি দিক নিয়ে তদন্ত করেছে। এর মধ্যে একটি জমিজমা নিয়ে বিরোধ এবং অন্যটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ। এজন্য কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দিকে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। পুলিশের ধারণা, হিফজুর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারেন।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হিফজুরের শরীরে আঘাতগুলো তেমন গুরুতর নয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার মাথা ও পায়ের আঘাতগুলো তিনি নিজে নিজেই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘরের দরজা ভাঙার কোনো নিশানা মেলেনি। বর্তমানে হিফজুর কেবিনে আছেন। সেখানে তার সঙ্গে বিভিন্ন কৌশলে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তিনি সেটি এড়িয়ে গিয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন।’

জানা যায়, গতকাল ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে হিফজুর তার ব্যবহৃত মুঠোফোন দিয়ে তিনজনকে ফোন দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুইজন স্থানীয় বাজারে পান-সুপারির ব্যবসা করেন। অন্যজন ফয়েজ মিয়া (৪০)। ফয়েজের বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন হিফজুর রহমান।

পুলিশ বলছে, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফয়েজ মিয়াকে ফোন দিয়ে কিছু টাকা নিয়ে বাড়ি আসতে বলেছিলেন হিফজুর। ওই সময় তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ও সোহেলকে ভোর সোয়া পাঁচটা এবং পৌনে ছয়টার দিকে ফোন দিয়েছিলেন হিফজুর। ওই সময় তিনি অসুস্থ থাকায় পান-সুপারি দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুৎফর রহমান জানান, এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status